ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) বহুব্রীহি সমাস
গ) কর্মধারয় সমাস
ঘ) অব্যয়ীভাব সমাস
সঠিক উত্তর: ঘ) অব্যয়ীভাব সমাস
ব্যাখ্যা:
“চিরস্থায়ী” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
চির = চিরকাল, সর্বদা (এটি একটি অব্যয় পদ)
স্থায়ী = যা স্থায়ী, দীর্ঘস্থায়ী, বদলায় না এমন
→ চির + স্থায়ী = চিরস্থায়ী
→ অর্থ: যা চিরকাল স্থায়ী থাকে, অর্থাৎ সর্বদা একই রকম থাকে এমন।
এখানে “চির” হলো অব্যয় পদ, এবং “স্থায়ী” হলো একটি বিশেষণ।
যখন একটি অব্যয় পদ + নামপদ/বিশেষণ মিলিয়ে নতুন অর্থ প্রকাশ করে এবং অব্যয়ের ভাবটি প্রধান থাকে, তখন তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে।
অব্যয়ীভাব সমাসের বৈশিষ্ট্য:
প্রথম পদ অব্যয় (যেমন: চির, সহসা, সদা, আবার)
দ্বিতীয় পদ নামপদ বা বিশেষণ
নতুন শব্দে অব্যয়ের অর্থ বজায় থাকে
একত্রে একটি বিশেষণ বা বিমূর্ত বিশেষ্য হয়
→ চির + স্থায়ী = চিরস্থায়ী
→ অর্থ: চিরকাল স্থায়ী, অর্থাৎ স্থায়িত্ব যার প্রকৃতি
আরও উদাহরণ (অব্যয়ীভাব সমাস):
চিরস্মরণীয় = চির + স্মরণীয় = চিরকাল স্মরণে রাখার যোগ্য
সহসা = সহস্র + আসা = হঠাৎ
সদাচার = সদা + আচরণ = সদা (সবসময়) ভাল আচরণ
উপসংহার:
“চিরস্থায়ী” একটি অব্যয়ীভাব সমাস,
যার অর্থ — চিরকাল স্থায়ী,
অর্থাৎ এমন কিছু যা স্থায়ীভাবে অপরিবর্তনীয় বা দীর্ঘকাল অটুট থাকে।