ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) কর্মধারয় সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: ক) তৎপুরুষ সমাস
ব্যাখ্যা:
“উপাচার্য” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
উপ = নিকট বা সহকারী
আচার্য = প্রধান শিক্ষক, গুরু, বিদ্যাপ্রদায়ক
→ উপ + আচার্য = উপাচার্য
→ অর্থ: আচার্যের নিকটবর্তী ব্যক্তি বা আচার্যের সহকারী,
আধুনিক অর্থে: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান বা উচ্চপদস্থ কর্তৃপক্ষ।
এখানে “উপ” পদটি নিকটতা বা সহকারিতা বোঝায়, এবং “আচার্য” হলো মূল পদ (বিশেষ্য)।
এই সম্পর্ক বোঝায় যে, উপাচার্য হলেন “আচার্যের নিকটবর্তী” — অর্থাৎ সহকারী বা অধীনস্থ।
এই ধরনের গঠনকে বলা হয় ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস, কারণ—
অর্থে “আচার্যের” (ষষ্ঠী বিভক্তি) ভাব আছে
তবে গঠনে সে বিভক্তি প্রকাশিত নয়
মিলিত শব্দটি নতুন নামপদ হয়ে দাঁড়ায়
ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য:
প্রথম পদ : সহকারী, অধীন বা কোনো গুণ বোঝায়
দ্বিতীয় পদ : মূল বিশেষ্য পদ
অর্থে : “দ্বিতীয় পদের — এর সঙ্গে সম্পর্ক” বোঝায় (ষষ্ঠী বিভক্তি)
গঠনে বিভক্তি প্রকাশিত হয় না
আরও উদাহরণ (ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস):
রাজপুরুষ = রাজার পুরুষ
গৃহস্বামী = গৃহের স্বামী
রাজদূত = রাজার দূত
অগ্নিসেনা = অগ্নির সেনা
উপসংহার:
“উপাচার্য” একটি ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস,
যার অর্থ — আচার্যের নিকটবর্তী বা সহকারী,
আধুনিক পরিভাষায়: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা।