ক) কর্মধারয় সমাস
খ) তৎপুরুষ সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) অব্যয়ীভাব সমাস
সঠিক উত্তর: ঘ) অব্যয়ীভাব সমাস
ব্যাখ্যা:
“চিরসুখী” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
চির = সর্বদা, চিরকাল, স্থায়ীভাবে (অব্যয় পদ)
সুখী = সুখে থাকা ব্যক্তি
→ চির + সুখী = চিরসুখী
→ অর্থ: যে সব সময় সুখে থাকে বা চিরকাল সুখী থাকে।
এখানে “চির” শব্দটি একটি অব্যয়, যা সময় বোঝায় এবং “সুখী” মূল শব্দ।
এই ধরনের গঠনকে বলা হয় অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ সমাস, কারণ:
প্রথম পদ: অব্যয় “চির”
দ্বিতীয় পদ: বিশেষ্য বা বিশেষণ “সুখী”
মিলিত হয়ে একটি বিশেষণ বা বিশেষ্য রূপে ব্যবহৃত হয়
অর্থে বোঝায়: “চিরকাল যেমন, তেমনভাবে সুখী”
অব্যয়ীভাব সমাসের বৈশিষ্ট্য:
অব্যয় + নামপদ / বিশেষ্য / বিশেষণ
নতুন শব্দে অব্যয়ের ভাব বজায় থাকে
দ্বিতীয় পদের অর্থ মুখ্য হলেও অব্যয়ের রূপে প্রভাবিত হয়
সাধারণত বিশেষণ বা বিমূর্ত বিশেষ্য গঠিত হয়
আরও উদাহরণ (অব্যয়ীভাব সমাস):
চিরদিন = চির + দিন = চিরকাল দিন
সহস্রদৃষ্টিতে = সহস্র + দৃষ্টি = হাজারো চোখে
সহসা = সহ (সঙ্গে) + অসা (আসা)
উপসংহার:
“চিরসুখী” একটি অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ সমাস,
যার অর্থ — চিরকাল সুখী, সর্বদা সুখে থাকা ব্যক্তি।