ক) কর্মধারয় সমাস
খ) তৎপুরুষ সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: ক) কর্মধারয় সমাস
ব্যাখ্যা:
“প্রাণচঞ্চল” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
প্রাণ = জীবনশক্তি, প্রাণসত্তা
চঞ্চল = অস্থির, চলমান, নড়াচড়া করে এমন
→ প্রাণ + চঞ্চল = প্রাণচঞ্চল
→ অর্থ: যার প্রাণ চঞ্চল, অর্থাৎ যে অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত, প্রাণবন্ত, চঞ্চল প্রকৃতির।
এখানে “প্রাণ” শব্দটি “চঞ্চল” শব্দটির বিশেষণ বা গুণ বোঝাচ্ছে।
“কেমন চঞ্চল?” — উত্তর: “প্রাণচঞ্চল”
এই রকম গুণবিশেষণ + বিশেষ্য বা বিশেষণ + বিশেষণের মিলনে গঠিত হয় কর্মধারয় সমাস।
কর্মধারয় সমাসের বৈশিষ্ট্য:
প্রথম পদ দ্বিতীয় পদের গুণ বা বৈশিষ্ট্য বোঝায়
নতুন পদটি একটি বিশেষণ বা বিশেষ্য হয়
প্রশ্ন করলে “কেমন?” বা “কী রকম?” উত্তর পাওয়া যায়
→ প্রাণচঞ্চল = যে চঞ্চলতার প্রকৃতি প্রাণের মতো বা প্রাণবন্তভাবে চঞ্চল
আরও উদাহরণ (কর্মধারয় সমাস):
গৌরবর্ণ = গৌর (সাদা) + বর্ণ (রঙ) = সাদা বর্ণ
মহাশক্তি = মহা (বিশেষণ) + শক্তি = অতিশক্তিশালী শক্তি
ধনবান = ধন + বান (বিশিষ্ট) = যার কাছে ধন আছে
উপসংহার:
“প্রাণচঞ্চল” একটি কর্মধারয় সমাস,
যেখানে “প্রাণ” শব্দটি “চঞ্চল”-এর গুণ বোঝায়, অর্থাৎ যে ব্যক্তি বা বস্তু প্রাণবন্তভাবে চঞ্চল।