ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) বহুব্রীহি সমাস
গ) কর্মধারয় সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: ক) তৎপুরুষ সমাস
ব্যাখ্যা:
“প্রতিবাদ” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
প্রতি = বিরুদ্ধে, প্রতিরোধমূলক
বাদ = বক্তব্য, বলা, উক্তি
→ প্রতি + বাদ = প্রতিবাদ
→ অর্থ: বিরুদ্ধে বলা বা বক্তব্য প্রদান।
এখানে “প্রতি” একটি উপসর্গ এবং “বাদ” হলো মূল শব্দ, যার মানে বলা বা কথা বলা।
“প্রতিবাদ” মানে হয় কোনো কিছুর বিরুদ্ধে কথা বলা।
এখানে যদি প্রশ্ন করা হয় —
“কি বলা?” বা “কিসের বিরুদ্ধে বলা?” — তাহলে উত্তর হয় “প্রতি” অর্থাৎ “বিরুদ্ধে”।
এই সম্পর্ক বোঝায় দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।
তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য (দ্বিতীয়া বিভক্তি):
প্রথম পদ দ্বিতীয় পদের কর্ম বা উদ্দেশ্য বোঝায়
“কি?” বা “কিসে?” প্রশ্ন করলে প্রথম পদ উত্তর হয়
পদদ্বয়ের অর্থ অক্ষুণ্ণ রেখে নতুন শব্দ গঠিত হয়
→ প্রতি + বাদ = প্রতিবাদ = বিরুদ্ধে বলা
→ এটি দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস।
আরও উদাহরণ (দ্বিতীয়া তৎপুরুষ):
দেশত্যাগ = দেশের ত্যাগ
শত্রুনাশ = শত্রুর নাশ
গ্রহণযোগ্য = গ্রহণ করা যায় এমন
উপসংহার:
“প্রতিবাদ” একটি দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস,
যার অর্থ — বিরুদ্ধে বলা বা বক্তব্য, অর্থাৎ অসন্তোষ প্রকাশ বা প্রতিবিরোধ।