ক) কর্মধারয় সমাস
খ) বহুব্রীহি সমাস
গ) তৎপুরুষ সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
✅ সঠিক উত্তর: ক) কর্মধারয় সমাস
📘 ব্যাখ্যা:
“মহাত্মা” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
মহা = মহান
আত্মা = আত্মা বা মন, অন্তঃসত্তা
👉 মহা + আত্মা = মহাত্মা
👉 অর্থ: যার আত্মা মহান, অর্থাৎ উচ্চমনা, মহাপুরুষ।
এখানে “মহা” বিশেষণ ও “আত্মা” বিশেষ্য —
বিশেষণ + বিশেষ্য = কর্মধারয় সমাস।
📌 যখন সমাসে বিশেষ্য (নাম/বস্তু/ব্যক্তি)-কে কোনো বিশেষণ (গুণ/পরিচয়) দিয়ে ব্যাখ্যা করা হয়, তখন সেটি কর্মধারয় সমাস।
✳️ কর্মধারয় সমাসের বৈশিষ্ট্য:
বিশেষণ + বিশেষ্য বা বিশেষ্য + বিশেষ্য হতে পারে
পরবর্তী পদের গুণ বা পরিচয় প্রকাশ করে
ব্যাখ্যার সময় এক পদের মাধ্যমে অন্য পদের গুণ বোঝায়
✅ আরও উদাহরণ (কর্মধারয় সমাস):
নীলকমল = নীল রঙের কমল (কমলফুল)
দুর্বুদ্ধি = মন্দ বা খারাপ বুদ্ধি
মহাত্মা = মহান আত্মা
সুন্দরবন = সুন্দর বন
✅ উপসংহার:
“মহাত্মা” একটি কর্মধারয় সমাস,
যার অর্থ — মহান আত্মা বা মহান ব্যক্তি।
📘 মনে রাখবে:
যখন কোনো পদ অপর পদের গুণ বা ব্যাখ্যা দেয়, তখন সেটি কর্মধারয় সমাস।