ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) কর্মধারয় সমাস
গ) দ্বিগু সমাস
ঘ) বহুব্রীহি সমাস
সঠিক উত্তর: খ) কর্মধারয় সমাস
ব্যাখ্যা:
“বিন্দুবিসর্গ” শব্দটি দুটি পদ নিয়ে গঠিত —
১. “বিন্দু” : যার অর্থ হলো “অনুস্বার” (ং চিহ্ন), একধরনের ধ্বনি বা চিহ্ন
২. “বিসর্গ” : যার অর্থ হলো “ঃ” চিহ্ন, একপ্রকার উচ্চারণবিধি
এই দুটি শব্দ একত্রে গঠিত হয়েছে “বিন্দুবিসর্গ”, যার অর্থ — বিন্দু ও বিসর্গ উভয়ই।
এখানে লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো —
উভয় পদই বিশেষ্য
একে অপরকে বিশেষণ করে না, বরং একত্রে একটি সম্মিলিত অর্থ প্রকাশ করে
দুটি পদের অর্থ সমানভাবে গুরুত্ব পেয়েছে
কোনো পদ অপর পদের উপর নির্ভরশীল নয়
এই রকম গঠনের সমাসকে বলে কর্মধারয় সমাস, যেখানে দুটি পদ একে অপরকে ব্যাখ্যা না করে একত্রে একটি মিশ্র অর্থ তৈরি করে, অথবা দুটি বস্তু বা ধারণা পাশাপাশি রেখে বোঝানো হয়।
কর্মধারয় সমাসের বৈশিষ্ট্য:
সাধারণত দুটি বিশেষ্য বা একটি বিশেষণ ও একটি বিশেষ্য পদ মিলে গঠিত হয়
সমাসপদে দুটি পদের অর্থ সমান গুরুত্ব পায়
অনেক সময় এটি দ্বন্দ্বের মতো মনে হলেও, এটি একপ্রকার কর্মধারয় — বিশেষ করে যখন দুটি বস্তু পাশাপাশি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়
আরও কিছু কর্মধারয় সমাসের উদাহরণ:
রাজপুরুষ = রাজের পুরুষ → রাজা ও পুরুষ একত্রে
নীলকমল = নীল রঙের কমল
সুখদুঃখ = সুখ ও দুঃখ (এটি দ্বন্দ্বও হতে পারে প্রসঙ্গে)
বিন্দুবিসর্গ = বিন্দু ও বিসর্গ (একত্রে দুইটি ধ্বনিচিহ্ন বোঝানো হয়েছে)
অতএব, ‘বিন্দুবিসর্গ’ একটি কর্মধারয় সমাসে গঠিত শব্দ।