ক. প্লেটো
খ. হেগেল
গ. অ্যারিস্টটল
ঘ. রুশো
সঠিক উত্তর: গ. অ্যারিস্টটল
🧠 ব্যাখ্যা:
অ্যারিস্টটল (Aristotle) ছিলেন প্রাচীন গ্রিসের একজন মহাপণ্ডিত, দার্শনিক ও চিন্তাবিদ। তিনি শুধু দর্শনেই নয়, বিজ্ঞান, নীতিশাস্ত্র এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানেও অসামান্য অবদান রেখেছেন।
তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “Politics”-এ রাষ্ট্র, শাসনব্যবস্থা, নাগরিক, সংবিধান, ন্যায়বিচার, আইনের ভূমিকা ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্লেষণ করেছেন।
অ্যারিস্টটল বিভিন্ন ধরণের শাসনব্যবস্থা (যেমন: রাজতন্ত্র, অলিগার্কি, গণতন্ত্র) তুলনা করে দেখিয়েছেন কোনটি কেমন কাজ করে।
তিনি রাষ্ট্র সম্পর্কে বলেন:
👉 “State is a natural institution”
👉 “Man is by nature a political animal”
এভাবে মানুষের রাজনৈতিক স্বভাব ও রাষ্ট্রের উদ্ভব ব্যাখ্যা করে, অ্যারিস্টটল রাষ্ট্রবিজ্ঞানকে একটি চিন্তাশীল, বিশ্লেষণমূলক শাস্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। তাই তাঁকে বলা হয়
> ✅ “রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক” (Father of Political Science)
❌ ভুল অপশনগুলোর ব্যাখ্যা:
ক. প্লেটো – অ্যারিস্টটলের গুরু, “The Republic” গ্রন্থে আদর্শ রাষ্ট্রের ধারণা দেন।
খ. হেগেল – জার্মান দার্শনিক, রাষ্ট্র বিষয়ে অবদান রয়েছে, কিন্তু জনক নন।
ঘ. রুশো – “Social Contract” তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত, আধুনিক গণতন্ত্রের ভাবনায় অবদান রয়েছে।
🔚 সুতরাং, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জনক হলেন অ্যারিস্টটল ✅