ক) বহুব্রীহি সমাস
খ) কর্মধারয় সমাস
গ) তৎপুরুষ সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
✅ সঠিক উত্তর: গ) তৎপুরুষ সমাস
📘 ব্যাখ্যা:
“হাতেখড়ি” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
হাতে = হাতে, মানে নিজ হাতে
খড়ি = লেখার জন্য ব্যবহৃত খড়ির টুকরো (চকের মতো), যা দিয়ে শিশুদের প্রথমবার লেখা শেখানো হয়
👉 হাতে + খড়ি = হাতেখড়ি
👉 অর্থ: শিশুর জীবনে প্রথমবার লেখাপড়া শুরু করার অনুষ্ঠান।
এখানে “হাতে” পদটি সপ্তমী বিভক্তিযুক্ত (→ তৎপুরুষ সমাসে বিভক্তি লোপ পায়),
এবং পরবর্তী পদ “খড়ি” মুখ্য শব্দ — যার সঙ্গে “হাতে” শব্দটি সম্পর্কযুক্ত।
এই সম্পর্কটি সপ্তমীতৎপুরুষ সমাস, কারণ:
সপ্তমী বিভক্তিসহ (–তে) পদ আছে এবং তার সাথে অন্য পদের সম্পর্ক বোঝানো হচ্ছে।
✳️ তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য:
একটি পদ অন্য পদের উপর নির্ভরশীল
বিভক্তিযুক্ত পদ থাকে (যেমন: হাতে = সপ্তমী বিভক্তি)
প্রধানত দ্বিতীয় পদটি মুখ্য হয়
বিভক্তি লোপ পেয়ে সমাসপদ তৈরি হয়
👉 হাতেখড়ি = হাতে খড়ির ব্যবহার বা শুরু
👉 অর্থ: প্রথম শিক্ষা, বিশেষ করে শিশুর প্রথম লেখার অনুষ্ঠান
✅ আরও উদাহরণ (তৎপুরুষ সমাস – সপ্তমীতৎপুরুষ):
ঘরেদাহ = ঘরে দাহ করা
পথে দেখা = পথের মধ্যে দেখা হওয়া
মাঠেখেলা = মাঠে খেলা
মুখেদেখা = মুখে দেখা
✅ উপসংহার:
“হাতেখড়ি” একটি সপ্তমীতৎপুরুষ সমাস,
যার অর্থ — শিশুর হাতে খড়ি ধরিয়ে লেখাপড়ার সূচনা করা,
অর্থাৎ প্রথম শিক্ষা বা লেখার সূচনা অনুষ্ঠান।