ক) কর্মধারয় সমাস
খ) দ্বন্দ্ব সমাস
গ) তৎপুরুষ সমাস
ঘ) বহুব্রীহি সমাস
🔎 সঠিক উত্তর: খ) দ্বন্দ্ব সমাস
📘 ব্যাখ্যা :
“জীবনানন্দ” শব্দটি গঠিত হয়েছে “জীবন” + “আনন্দ” — এই দুটি শব্দ থেকে।
“জীবন” অর্থ — বেঁচে থাকা বা প্রাণ,
“আনন্দ” অর্থ — সুখ বা পরিতৃপ্তি।
এখানে দুইটি শব্দ সমান গুরুত্ব নিয়ে একত্র হয়েছে এবং উভয়ের যৌথ অর্থ প্রকাশ করছে— জীবন ও আনন্দ। এই ধরনের সমাসে দুই বা ততোধিক শব্দ পাশাপাশি যুক্ত হয়ে সম্মিলিতভাবে অর্থ প্রকাশ করে এবং আলাদা করে কোনো একটি শব্দকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না।
এ কারণেই “জীবনানন্দ” হলো একটি দ্বন্দ্ব সমাস, যেখানে উভয় শব্দের নিজস্ব অর্থ বজায় থাকে এবং একত্রে একটি মিলিত ভাব প্রকাশ করে। এমন শব্দ সাধারণত কোনো বিশেষ গুণ, ভাব বা অবস্থাকে প্রকাশ করে, এবং অনেক সময় নাম হিসেবেও ব্যবহৃত হয় (যেমন: কবি জীবনানন্দ দাশ)।
✍️ ভূমিকা:
সমাস বাংলা ব্যাকরণের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা ভাষাকে করে তোলে সংক্ষিপ্ত, অর্থবহ এবং কাব্যিক। এর মাধ্যমে একাধিক শব্দকে একত্র করে একটি নতুন, গভীরতাসম্পন্ন শব্দ তৈরি করা যায়। দ্বন্দ্ব সমাস হলো এমন এক প্রকার সমাস, যেখানে একাধিক পদ একসাথে মিশে তাদের স্বতন্ত্র অর্থ বজায় রেখে মিলিতভাব প্রকাশ করে। “জীবনানন্দ” এই সমাসের একটি নিখুঁত উদাহরণ, যা ভাব ও অনুভূতির মিশ্র রূপ তুলে ধরে।
✅ উপসংহার:
সারসংক্ষেপে, “জীবনানন্দ” শব্দটি একটি দ্বন্দ্ব সমাস, যা বাংলা ভাষার গভীরতা ও সৌন্দর্য প্রকাশে সহায়ক। এই ধরনের শব্দ কেবল ব্যাকরণিক দৃষ্টিকোণ থেকেই নয়, সাহিত্যিক এবং ভাবগত অর্থেও গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের জন্য সমাসের বিভিন্ন রূপ শেখার ক্ষেত্রে এমন বাস্তব উদাহরণ খুবই কার্যকর, যা ভাষার বোধগম্যতা ও ব্যবহারিক দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।