ক) কর্মধারয় সমাস
খ) তৎপুরুষ সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
✅ সঠিক উত্তর: গ) বহুব্রীহি সমাস
🔍 ব্যাখ্যা:
নীলকণ্ঠ = নীল + কণ্ঠ
-
নীল = নীল রঙ
-
কণ্ঠ = গলা বা গলদেশ
👉 অর্থ: যার কণ্ঠ নীল, অর্থাৎ নীল গলা-যুক্ত ব্যক্তি।
উদাহরণস্বরূপ, শিব — যিনি হলাহল বিষ পান করার ফলে “নীলকণ্ঠ” নামে পরিচিত হন।
এখানে সমাসবদ্ধ শব্দটি নিজে নীল নয়, নিজে কণ্ঠ নয়, বরং একজন ব্যক্তিকে বোঝায় যার গলা নীল।
এই ধরণের সমাস, যেখানে সমাসপদ অন্য কোনো বস্তুকে বোঝায় যার সঙ্গে এই বৈশিষ্ট্য বা উপাদান যুক্ত, সেটিকে বলে বহুব্রীহি সমাস।
🧠 বহুব্রীহি সমাস চেনার উপায়:
-
সমাসপদটি নিজেই উপাদান দুইটির মধ্যে পড়ে না
-
অন্য কোনো ব্যক্তি বা বস্তু বোঝায়
-
সাধারণত বিশেষ্য পদ হয়
-
অর্থে বোঝায়: যার এটা আছে / যিনি এমন
🔸 উদাহরণ:
-
ত্রিনয়ন = যার তিনটি নয়ন আছে (শিব)
-
দশানন = যার দশটি মুখ আছে (রাবণ)
-
নীলকণ্ঠ = যার গলা নীল (শিব)
📚 সারসংক্ষেপ:
“নীলকণ্ঠ” একটি বহুব্রীহি সমাস, যার অর্থ: যার কণ্ঠ নীল, অর্থাৎ শিব।