ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) বহুব্রীহি সমাস
গ) কর্মধারয় সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
✅ সঠিক উত্তর: খ) বহুব্রীহি সমাস
📘 ব্যাখ্যা:
“বিধুমুখী” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
বিধু = চন্দ্র
মুখী = মুখবিশিষ্ট
👉 বিধু + মুখী = বিধুমুখী
👉 অর্থ: যার মুখ চন্দ্রের মতো, অর্থাৎ চাঁদের মতো সুন্দর মুখ যার।
এখানে **”বিধু”** (চন্দ্র) শব্দটি “মুখী” (মুখবিশিষ্ট) শব্দের বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও, সমগ্র শব্দটি কারও বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করছে— যেমন, কোনো নারী যার মুখ চাঁদের মতো।
এটি নিজের গুণ বোঝাচ্ছে না, বরং অন্য কারও (অধিকারিণী বা নারী) গুণ বোঝাচ্ছে।
এই কারণে এটি বহুব্রীহি সমাস।
✳️ বহুব্রীহি সমাসের বৈশিষ্ট্য:
সমাসপদটি নিজেকে বোঝায় না — বরং অন্য কাউকে বোঝায়
অর্থে থাকে — “যার… আছে”, “যিনি… হন” ইত্যাদি
প্রথম ও দ্বিতীয় পদ মিলে তৃতীয় কারো গুণ বোঝায়
সমাসপদটি বিশেষ্য নয়, বিশেষণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়
👉 বিধুমুখী = যার মুখ চন্দ্রের মতো
(= চাঁদমুখী সুন্দরী নারী)
✅ আরও উদাহরণ (বহুব্রীহি সমাস):
চন্দ্রমুখী = চাঁদের মতো মুখ যার
সুজনহৃদয় = ভালো মানুষের হৃদয় যার
ত্রিনয়নী = তিন চোখ যার (দুর্গা)
নীলকণ্ঠ = নীল গলা যার (শিব)
✅ উপসংহার:
“বিধুমুখী” একটি বহুব্রীহি সমাস,
যার অর্থ — যার মুখ চাঁদের মতো,
অর্থাৎ চাঁদ-সদৃশ মুখবিশিষ্ট রমণী।