ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) দ্বন্দ্ব সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) দ্বিগু সমাস
সঠিক উত্তর: গ) বহুব্রীহি সমাস
ব্যাখ্যা:
‘চাঁদবদন’ = চাঁদ + বদন
-
চাঁদ = চন্দ্র (সৌন্দর্যের প্রতীক)
-
বদন = মুখমণ্ডল
এই শব্দের অর্থ দাঁড়ায় — যার মুখ চাঁদের মতো বা যার মুখমণ্ডল চাঁদের মতো সুন্দর।
এখানে লক্ষ্যণীয়:
-
এই ব্যক্তি চাঁদও নন, শুধু বদনও নন।
-
বরং এমন একজন ব্যক্তি যার মুখ চাঁদের মতো।
অর্থাৎ সমাসবদ্ধ পদদ্বয়ের (চাঁদ + বদন) মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে তৃতীয় এক ব্যক্তি, যিনি উক্ত দুই পদের বাইরে।
এই ধরনের সমাসকে বলে বহুব্রীহি সমাস — যেখানে সমাসবদ্ধ পদের দ্বারা অন্য এক ব্যক্তি বা বস্তু বোঝানো হয়, যিনি/যা সেই পদদ্বয়ের মধ্যে নেই।
বহুব্রীহি সমাসের বৈশিষ্ট্য:
-
সমাসবদ্ধ পদের অর্থে যে ব্যক্তি/বস্তু বোঝানো হয়, তিনি সেই পদদ্বয়ের অংশ নন
-
সাধারণত বিশেষণ বা গুণসূচক অর্থ তৈরি হয়
আরও উদাহরণ (বহুব্রীহি সমাস):
-
নীলকণ্ঠ = যার কণ্ঠ নীল (শিব)
-
চন্দ্রমুখ = যার মুখ চাঁদের মতো
-
সিংহপুরুষ = যিনি সিংহের মতো বীর
-
চাঁদবদন = যার মুখ চাঁদের মতো
অতএব, ‘চাঁদবদন’ হলো বহুব্রীহি সমাস।