ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) কর্মধারয় সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: ক) তৎপুরুষ সমাস
ব্যাখ্যা:
“বাগদত্তা” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
বাগ্ = বাক্য বা কথা
দত্তা = দেওয়া হয়েছে (নারী লিঙ্গে; পুরুষ হলে: দত্ত)
বাগ্ + দত্তা = বাগদত্তা
→ অর্থ: যাকে বাক্যে বা কথায় (মন্ত্রে) অঙ্গীকার বা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবাহের কথা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, বাগ্ (কথা) দিয়ে দত্তা (প্রদান করা হয়েছে) — অর্থাৎ, প্রতিশ্রুত কনে বা বাগ্দত্তা নারী।
এখানে “বাগ্” পদটি কর্মপদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে, যা “দত্তা” (ক্রিয়াপদ) দ্বারা সম্পাদিত হয়েছে — অর্থাৎ, বাক্য দ্বারা দান করা হয়েছে।
এই ধরণের সমাসে একটি পদ কর্ম এবং অপরটি ক্রিয়া — একে বলে কর্মবাচ্য তৎপুরুষ সমাস।
তৎপুরুষ সমাসের ধরন অনুযায়ী ব্যাখ্যা:
বাগ্ (কথা) → কর্মপদ
দত্তা (প্রদত্ত) → ক্রিয়াপদ
“যাকে কথার মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে” — এই সম্পর্ক থেকে বোঝা যায় এটি তৃতীয়া তৎপুরুষ বা কর্মবাচ্য তৎপুরুষ সমাস
আরও কিছু উদাহরণ:
বাগদত্ত = যাকে বাক্য (মন্ত্র) দিয়ে দান করা হয়েছে
যজ্ঞদত্ত = যজ্ঞে দান করা হয়েছে
ব্রাহ্মণপ্রণীত = ব্রাহ্মণ দ্বারা প্রণীত
উপসংহার:
“বাগদত্তা” একটি তৎপুরুষ সমাস, বিশেষভাবে কর্মবাচ্য তৃতীয়া তৎপুরুষ সমাস, যার অর্থ — যাকে কথার মাধ্যমে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিবাহের অঙ্গীকার করা হয়েছে।