ক) কর্মধারয় সমাস
খ) তৎপুরুষ সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: খ) তৎপুরুষ সমাস
ব্যাখ্যা:
“সপ্তর্ষি” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
সপ্ত = সাত
ঋষি = সাধু, মহাজ্ঞানী পুরুষ
→ সপ্ত + ঋষি = সপ্তর্ষি
→ অর্থ: সাতজন ঋষি — হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী সেই সাতজন মহাজ্ঞানী ঋষি, যাঁরা সৃষ্টি বা ধর্মপ্রতিষ্ঠার সাথে যুক্ত ছিলেন।
এখানে “ঋষি” শব্দটি প্রধান এবং “সপ্ত” হচ্ছে সংখ্যাবাচক বিশেষণ, যা “কতজন ঋষি?” এই প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে।
এই ধরনের গঠনকে বলা হয় দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস, কারণ
→ প্রশ্ন করলে “কাকে বা কাহাদের?” — উত্তর আসে “সপ্ত”
→ সংখ্যা + বাচ্য পদ মিলে সমাস হয়
→ পদদ্বয়ের অর্থ অক্ষুণ্ণ থাকে: সাত + ঋষি = সাত ঋষি
তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য (সংখ্যাবাচক দ্বিতীয়া):
সংখ্যাবাচক শব্দ + প্রধান পদ
“কত?” বা “কতজন?” প্রশ্ন করলে প্রথম পদ উত্তর হয়
দ্বিতীয় পদ প্রধান
আরও উদাহরণ (সংখ্যাবাচক তৎপুরুষ):
ত্রিলোক = তিন + লোক = তিনটি লোক
চতুর্বেদ = চার + বেদ = চারটি বেদ
ষড়রিপু = ছয় + রিপু = ছয়টি রিপু (অর্থাৎ মানসিক শত্রু)
উপসংহার:
“সপ্তর্ষি” একটি দ্বিতীয়া তৎপুরুষ সমাস,
যার অর্থ — সাতজন ঋষি, যেখানে সংখ্যাবাচক শব্দ “সপ্ত” প্রথম পদ, আর “ঋষি” হলো মুখ্য শব্দ।