Home » Grammar » পেঁপে কোন ভাষার শব্দ

পেঁপে কোন ভাষার শব্দ

ক. সংস্কৃত
খ. তামিল
গ. দেশি (বাংলা)
ঘ. ফারসি

সঠিক উত্তর: খ. তামিল

🖋️ ব্যাখ্যা :

“পেঁপে” শব্দটি বাংলা ভাষায় খুবই পরিচিত একটি ফলের নাম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদিও এটি বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত, এর উৎস বাংলা নয়। “পেঁপে” শব্দটি তামিল ভাষা থেকে আগত। তামিল ভাষায় এই ফলটির নাম “பப்பாளி” (পপালি) বা “பப்பாளி பழம்” যা বাংলায় ‘পেঁপে’ নামে এসেছে। দক্ষিণ ভারতের দ্রাক্ষাক্ষেত্র ও উদ্ভিদবিদ্যায় পেঁপে ফলের ব্যবহার প্রচলিত থাকায়, ভাষাগত আদান-প্রদানের মাধ্যমে এই শব্দটি বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ফলের জনপ্রিয়তার কারণে শব্দটিও ব্যাপকভাবে ব্যবহারিক হয়ে ওঠে।

বাংলা ভাষায় বহুল ব্যবহৃত হলেও এর শিকড় তামিলের আঞ্চলিক ভাষায়। এটি বাংলায় তদ্ভব বা দেশি নয় বরং বিদেশি উৎসবিশিষ্ট শব্দের এক উদাহরণ।

🌿 ভূমিকা:

ভাষার বিকাশে প্রতিবেশী অঞ্চলের ভাষার প্রভাব অনস্বীকার্য। বাংলা ভাষা, ভারতের অন্যান্য ভাষার সঙ্গে মিশে বহু বিদেশি শব্দ গ্রহণ করেছে। তামিল থেকে আগত ‘পেঁপে’ শব্দটি ভাষার সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের প্রমাণ। ভাষা যেমন খাদ্যের সাথে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানে সমৃদ্ধ হয়, তেমনি ফলের নামও ভাষার ভান্ডারকে বিস্তৃত করে।

🎯 সঠিক উত্তর চেনার উপায়:

“পেঁপে” শব্দের ধ্বনি ও গঠন অন্যান্য প্রাচীন ইন্দো-আর্য ভাষার থেকে আলাদা। দক্ষিণ ভারতীয় ভাষা তামিলের সঙ্গে তুলনা করলে এর সাদৃশ্য পাওয়া যায়। বাংলা ও তামিলের মধ্যে ঐতিহাসিক বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক থাকায় এ ধরনের শব্দের আদান-প্রদান হয়। শব্দের উচ্চারণ ও অর্থের মিল দেখে সহজেই এর উৎস শনাক্ত করা যায়।

✅ উপসংহার:

“পেঁপে” শুধু একটি ফলের নাম নয়, এটি বাংলা ভাষায় প্রতিবেশী ভাষার প্রভাবের এক চমৎকার উদাহরণ। ভাষার আদান-প্রদানের মাধ্যমে আমরা শুধু শব্দই পাই না, বরং সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সংযোগও বুঝতে পারি। তামিল থেকে আগত এই শব্দটি বাংলা ভাষার বহুমুখী ঐতিহ্যের এক নিদর্শন।

Leave a Comment