ক. সংস্কৃত
খ. ফারসি
গ. আরবি
ঘ. পর্তুগিজ
✅ সঠিক উত্তর: ঘ. পর্তুগিজ
✍️ ব্যাখ্যা :
“সাবান” শব্দটি বাংলা ভাষায় খুব পরিচিত একটি দৈনন্দিন ব্যবহার্য বস্তু বোঝাতে ব্যবহৃত হয় — যার মাধ্যমে আমরা শরীর বা কাপড় ধুয়ে পরিষ্কার করি। তবে এই সাধারণ শব্দটির উৎস কিন্তু বাংলা নয়, বরং এটি এসেছে পর্তুগিজ ভাষা থেকে।
মূল পর্তুগিজ শব্দ হলো “sabão” (সাবাঁও), যার অর্থ soap বা সাবান। ১৬শ শতকে যখন পর্তুগিজরা উপমহাদেশে আসে (বিশেষ করে বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে), তখন তারা শুধু পণ্য নয়, তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিও নিয়ে আসে। তাদের দৈনন্দিন ব্যবহার্য বস্তু ও তাদের নাম বাংলায় ঢুকে পড়ে। “সাবান” শব্দটিও সেই সময় থেকেই বাংলা ভাষায় প্রচলিত হয়ে যায়।
পর্তুগিজদের মাধ্যমে আধুনিক সাবানের ব্যবহার এ অঞ্চলে শুরু হয়। আগে উপমহাদেশে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে পরিষ্কারের কাজ চলত (যেমন মাটি, ছাই, শিকাকাই)। কিন্তু সাবান ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যচর্চায় নতুন ধারা আসে।
আজ “সাবান” শব্দটি এতটাই ঘরোয়া ও সাধারণ যে, কেউ ভাবেই না এটা পর্তুগিজ ভাষা থেকে আসা! অথচ এটি ভাষাগত আদান-প্রদানের একটি জীবন্ত উদাহরণ।
📚 ভূমিকা:
বাংলা ভাষায় ইউরোপীয় প্রভাবের অন্যতম নিদর্শন হলো পর্তুগিজ ভাষা থেকে আগত শব্দ। “সাবান” তার একটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টান্ত, যা বিদেশি হলেও এখন সম্পূর্ণ বাংলা শব্দে পরিণত হয়েছে।
🔍 সঠিক উত্তর চেনার উপায়:
পর্তুগিজ শব্দ sabão → বাংলা “সাবান”
ইউরোপীয় উপনিবেশিক প্রভাব ও বাণিজ্যের সময় আগমন
একই উৎস থেকে আরও শব্দ এসেছে (যেমন: চামচ, আলমারি, বালতি)
পর্তুগিজ উচ্চারণ অনুযায়ী বাংলায় রূপান্তরিত
এসব যুক্তির ভিত্তিতে বোঝা যায় “সাবান” শব্দটির উৎস পর্তুগিজ ভাষা।
✅ উপসংহার:
“সাবান” একটি বিদেশি শব্দ হয়েও বাংলা ভাষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এটি শুধু পরিচ্ছন্নতার প্রতীক নয়, বরং ভাষার পরিবর্তন ও গ্রহণযোগ্যতার ইতিহাসও বহন করে। বাংলা ভাষার ভাণ্ডার কিভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে — “সাবান” তার এক উজ্জ্বল প্রমাণ।