A. তৎপুরুষ সমাস
B. বহুব্রীহি সমাস
C. কর্মধারয় সমাস
D. দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: A. তৎপুরুষ সমাস
ব্যাখ্যা:
“শ্বাপদ” শব্দটি গঠিত হয়েছে —
শ্বা (কুকুর) + পদ (পদ বা পা) → অর্থাৎ, যার পা কুকুরের মতো বা কুকুরের পা।
এখানে “শ্বা” পদটি “পদ” শব্দের উপর ষষ্ঠী বিভক্তি অর্থে যুক্ত হয়েছে। অর্থ দাঁড়ায় — কুকুরের পা।
তাই এটি একটি ষষ্ঠীতৎপুরুষ সমাস।
✅ তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য (বিশেষ করে ষষ্ঠীতৎপুরুষ):
-
প্রথম পদটি দ্বিতীয় পদের কর্তা/কর্ম/সম্পর্ক বোঝায়।
-
এখানে “শ্বা” এবং “পদ” — এই দুই পদ মিলে এমন একটি বস্তুকে নির্দেশ করছে যার পদ কুকুরের মতো বা কুকুর-সম্পর্কিত।
📌 উদাহরণ (ষষ্ঠীতৎপুরুষ সমাস):
-
গজচর্ম = গজের চর্ম (হাতির চামড়া)
-
অশ্বপৃষ্ঠ = অশ্বের পৃষ্ঠ (ঘোড়ার পিঠ)
-
শ্বাপদ = শ্বার পদ (কুকুরের পা) → তৎপর্যক্রমে, বনজ বন্য হিংস্র জন্তু
❗ অতিরিক্তভাবে, শ্বাপদ শব্দটি সাধারণভাবে বনজ হিংস্র জন্তু বোঝাতেও ব্যবহৃত হয়, যেমন বাঘ, সিংহ প্রভৃতি। তবে এর গঠন অনুসারে এটি তৎপুরুষ সমাস।
সারাংশ:
“শ্বাপদ” একটি ষষ্ঠীতৎপুরুষ সমাস।