ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) বহুব্রীহি সমাস
গ) কর্মধারয় সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
🔎 সঠিক উত্তর: খ) বহুব্রীহি সমাস
📘 ব্যাখ্যা :
“কচুকাটা” শব্দটি গঠিত হয়েছে “কচু” + “কাটা” থেকে।
“কচু” হলো এক প্রকার উদ্ভিদ বা শাক,
“কাটা” মানে কাটা বা ছেঁটে ফেলা।
এই দুটি পদ একসঙ্গে মিলিত হয়ে “কচুকাটা” শব্দটি গঠন করেছে, যার অর্থ — যে ব্যক্তি বা বস্তু কচু কাটে বা যে জায়গায় কচু কাটা হয়। এখানে দুটি পদই স্বাধীন অর্থ বহন করলেও, মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন অর্থ সৃষ্টি করেছে।
এ ধরনের সমাসকে বহুব্রীহি সমাস বলে, যেখানে সমাসবদ্ধ শব্দের অর্থ প্রধান দুই পদের সরাসরি অর্থ থেকে আলাদা হয় এবং তা সম্পূর্ণ অন্য অর্থ বহন করে। “কচুকাটা” শব্দটি এই বৈশিষ্ট্য বহন করে।
✍️ ভূমিকা:
সমাস হলো বাংলা ভাষার একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাকরণিক প্রক্রিয়া, যা দুটি বা ততোধিক শব্দকে সংযুক্ত করে একটি নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টি করে। সমাসের মধ্যে বহুব্রীহি সমাস একটি বিশেষ ধরণ, যেখানে সমাসবদ্ধ শব্দের অর্থ প্রধান পদদ্বয়ের সরাসরি অর্থ থেকে ভিন্ন হয়ে যায় এবং একটি সম্পূর্ণ নতুন অর্থ তৈরি করে। “কচুকাটা” শব্দটি এই ধরনের সমাসের একটি পরিষ্কার উদাহরণ, যা ভাষাকে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল করে তোলে।
✅ উপসংহার:
সর্বশেষে, “কচুকাটা” একটি বহুব্রীহি সমাস যা বাংলা ভাষার ব্যাকরণিক ও অর্থগত বৈচিত্র্য তুলে ধরে। এটি ভাষাকে শুধু সংক্ষিপ্তই করে না, বরং নতুন ধারণা প্রকাশের সক্ষমতাও দেয়। বহুব্রীহি সমাসের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই ভাষায় কীভাবে শব্দের সমন্বয়ে নতুন ও গভীর অর্থ সৃষ্টি করা যায়। “কচুকাটা” এর মতো শব্দ আমাদের ভাষার শব্দভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে এবং সাহিত্য ও দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত হয়।