ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) বহুব্রীহি সমাস
গ) দ্বিগু সমাস
ঘ) কর্মধারয় সমাস
সঠিক উত্তর: ক) তৎপুরুষ সমাস
ব্যাখ্যা:
“আমরণ” শব্দটি গঠিত হয়েছে:
“অ” (উপসর্গ) + “মরণ” (মৃত্যু)
→ অর্থ: মৃত্যুর সময় পর্যন্ত বা মৃত্যু পর্যন্ত।
এই শব্দে “অ” উপসর্গটি সময়ের সীমা বোঝাচ্ছে (যেমন: অপরাহ্ন = দুপুর পর্যন্ত), আর “মরণ” হল প্রধান পদ।
এটি অব্যয় তৎপুরুষ সমাস–এর উদাহরণ, যেখানে একটি অব্যয় শব্দ (অর্থাৎ “অ”) + একটি নামপদ (মরণ) যুক্ত হয়ে একটি অব্যয় পদ তৈরি করে।
তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য:
-
একটি পদ অন্য পদের উপর নির্ভর করে।
-
প্রধানত দ্বিতীয় পদটি মুখ্য হয়।
-
সমাসবদ্ধ পদে প্রথম পদের কারকবাচ্যতা থাকে।
-
বিভিন্ন প্রকার রয়েছে: ষষ্ঠী তৎপুরুষ, চতুর্থী তৎপুরুষ, সপ্তমী তৎপুরুষ, অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ ইত্যাদি।
“আমরণ” → অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ সমাস, কারণ:
-
এটি অব্যয়পদ তৈরি করে,
-
অর্থ বোঝায়: মৃত্যু পর্যন্ত।
আরও কিছু উদাহরণ (অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ সমাস):
-
আগমন = গমনের আগে
-
অশেষ = শেষ পর্যন্ত
-
অদ্য = আজ
উপসংহার:
“আমরণ” একটি তৎপুরুষ সমাস (বিশেষভাবে অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ)–এর উদাহরণ, যার অর্থ — মৃত্যু পর্যন্ত।