ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) কর্মধারয় সমাস
গ) অব্যয়ীভাব সমাস
ঘ) বহুব্রীহি সমাস
✅ সঠিক উত্তর: গ) অব্যয়ীভাব সমাস
📘 ব্যাখ্যা:
“আজীবন” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
আ = উপসর্গ, যার অর্থ “পর্যন্ত”
জীবন = জীবনকাল
👉 আ + জীবন = আজীবন
👉 অর্থ: জীবনকাল পর্যন্ত, বা সারা জীবনব্যাপী
এই শব্দে “আ” একটি অব্যয় পদ (যেমন: উপসর্গ বা ক্রিয়া-বাচক), এবং “জীবন” একটি নাম।
সমাসের ফলে পুরো শব্দটি অব্যয় পদে রূপান্তরিত হয়েছে — অর্থাৎ “আজীবন” এখন একটি অব্যয় (অপরিবর্তনীয় শব্দ) যার অর্থ একটি সময়কাল নির্দেশ করে (যেমন: আজীবন শিক্ষা, আজীবন কারাদণ্ড ইত্যাদি)।
এই কারণে এটি অব্যয়ীভাব সমাস।
✳️ অব্যয়ীভাব সমাসের বৈশিষ্ট্য:
সমাসপদটি অব্যয় (অপরিবর্তনীয় শব্দ) হয়
অর্থে সময়, অবস্থান বা উপায় প্রকাশ পায়
সাধারণত অব্যয় + নাম/বিশেষ্য/বিশেষণ মিলিত হয়
অর্থ হয়: “…হয়ে”, “…ভাবে”, “…পর্যন্ত”, ইত্যাদি
✅ আরও উদাহরণ (অব্যয়ীভাব সমাস):
সকালবেলা = সকালের বেলা
অশ্রুভরে = অশ্রুতে ভরে
হস্তলিখিত = হাতে লেখা
আজীবন = জীবনকাল পর্যন্ত
✅ উপসংহার:
“আজীবন” একটি অব্যয়ীভাব সমাস,
যার অর্থ — জীবনকাল পর্যন্ত বা সারা জীবনের জন্য।
📘 এমন সমাস বুঝতে চাইলে মনে রাখো:
যদি শব্দটি অব্যয় রূপে ব্যবহৃত হয় এবং সময়/অবস্থা বোঝায়, তাহলে সেটা অব্যয়ীভাব সমাস! ✅