ক) তৎপুরুষ সমাস
খ) বহুব্রীহি সমাস
গ) কর্মধারয় সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: ক) তৎপুরুষ সমাস
ব্যাখ্যা:
“অনুধাবন” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
অনু (উপসর্গ) = অনুসরণ করে
ধাবন = ধাবিত হওয়া, ছুটে যাওয়া বা উপলব্ধি করা
→ অনু + ধাবন = অনুধাবন
→ অর্থ: অনুসরণ করে উপলব্ধি করা বা গভীরভাবে অনুধ্যান করে বোঝা।
এখানে “অনু” একটি অব্যয় (উপসর্গজাত), যা মূল শব্দ “ধাবন”-এর আগে বসে অর্থ প্রকাশ করছে।
এই ধরনের গঠনকে বলা হয় অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ সমাস। কারণ:
প্রথম পদটি অব্যয় (অনু)
দ্বিতীয় পদটি মূল পদ (ধাবন)
নতুন পদটি হয় একটি বিশেষ্য বা ক্রিয়াবাচক রূপ
অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ সমাসের বৈশিষ্ট্য:
প্রথম পদ অব্যয় বা অব্যয়ার্থ উপসর্গ
দ্বিতীয় পদ প্রধান
মিলিত শব্দটি একটি বিশেষ্য বা বিমূর্ত ধারণা বোঝায়
অর্থে গঠন থাকে: অব্যয় পদে যেভাবে, সেইভাবে দ্বিতীয় পদটি সম্পন্ন হওয়া
→ অনুধাবন = অনুরূপে ধাবন করা (অনুসরণ করে বোঝা বা উপলব্ধি করা)
আরও উদাহরণ (অব্যয়ীভাব সমাস):
অধিকরণ = উপর + করণ = উপরে করা
অভিযোগ = অভি (দিকে) + যোগ (জোড়া বা বলা)
পরিচালনা = পরি (চারিদিকে) + চলন = সবদিক দিয়ে চালনা
উপসংহার:
“অনুধাবন” একটি অব্যয়ীভাব তৎপুরুষ সমাস,
যার অর্থ — অনুসরণ করে ধাবন বা উপলব্ধি করা। এটি একটি বিমূর্ত অর্থবোধক শব্দ।