ক) কর্মধারয় সমাস
খ) তৎপুরুষ সমাস
গ) বহুব্রীহি সমাস
ঘ) দ্বন্দ্ব সমাস
সঠিক উত্তর: গ) বহুব্রীহি সমাস
ব্যাখ্যা:
“কালঘুম” শব্দটি গঠিত হয়েছে—
কাল = মৃত্যু বা বিনাশের সময় (এখানে “যম” বা “মৃত্যু” বোঝাতে ব্যবহৃত)
ঘুম = নিদ্রা
কাল + ঘুম = কালঘুম
→ সরল অর্থে হয় “মৃত্যুর ঘুম”, কিন্তু মূল অর্থ: যে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনে, অর্থাৎ চিরনিদ্রা বা মৃত্যু।
এখানে “কাল” ও “ঘুম” উভয় পদের সমন্বয়ে তৈরি শব্দ কোনো একটি বস্তু বা ব্যক্তিকে নির্দেশ করে না, বরং যার ঘুম কালস্বরূপ, অর্থাৎ যার ঘুম মানেই মৃত্যু।
এটি অন্য কিছুকে বোঝায় (চিরঘুম বা মৃত্যু), তাই এটি বহুব্রীহি সমাস।
বহুব্রীহি সমাসের বৈশিষ্ট্য:
সমাসপদ (যেমন: কালঘুম) অন্য কিছুকে বোঝায়
উভয় পদের গুণ বা ধর্ম কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর দিক নির্দেশ করে
যেমন: যার ঘুম কালস্বরূপ → কালঘুম → মৃত্যু
আরও উদাহরণ:
পীতাম্বর = যিনি পীত (হলুদ) আম্বর (বস্ত্র) পরেন (যেমন: কৃষ্ণ)
নীলকণ্ঠ = যার কণ্ঠ নীল (যেমন: শিব)
কালঘুম = যেভাবে ঘুম মৃত্যু ডেকে আনে
উপসংহার:
“কালঘুম” একটি বহুব্রীহি সমাস, যার অর্থ — মৃত্যুর মতো গভীর ঘুম বা চিরঘুম, অর্থাৎ মৃত্যু।